নুসরাতের সন্তান সম্ভবা হওয়া নিয়ে গুঞ্জন চলছে কিছুদিন ধরে। তারই মাঝে বুধবার বিবৃতি দিয়ে সাংসদ অভিনেত্রী জানান, তিনি নিখিলকে বিয়ে করেননি, এক সাথে সহবাস করতেন। যা আইনের চোখে বৈধ নয়। কিন্তু এ বিষয়ে কী বলে ভারতীয় আইন? স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট (Special Marriage Act)কী? এ বিষয়ে ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন বিবাহবিধি আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে।
আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘হিন্দু ও মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট দুটোই ধর্মীয় রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। তাই দুই বিপরীত ধর্মের ব্যক্তির স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট এ বিয়ে করলে সেই বিয়ে বৈধ। তাতে ধর্মন্তরিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। এটা নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের রীতি মেনে বিয়ে নয়। এই বিয়েতে ১ মাস আগে নোটিস দিতে হয় রেজিস্ট্রারের কাছে। তিনি সেই নোটিস টাঙিয়ে রাখেন। সেখানে কোনো বাধা না আসলে ১ মাস পর বিয়ে হয়।’
আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা আরো জানান, ‘হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে বিবাহে হোম ও সপ্তপদী খুবই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গে রেজিস্ট্রেশনও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আর, মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্টেও তিনবার কুবল বললে তবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে যদি পাত্র-পাত্রী দুই বিপরীত ধর্মের হন, তাহলে যে কেউ একজন ধর্মান্তরিত হলে তবেই সোশ্যাল ম্যারেজের নিয়ম মেনে বিয়ে করতে পারবেন। তবে ধর্মান্তরিত না হয়ে সামাজিক বিয়ে করলে সেই বিয়েকে গতানুগতিক আইন অনুযায়ী সামাজিক বিয়ে বলা যাবে না।’
প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আইনের চোখে সত্যিই নুসরাত-নিখিলের বিয়ের কোনো গুরুত্বই নেই?
যদিও এর আগে নিখিল জৈন জানিয়েছিন, তিনি যেদিন জেনেছেন নুসরাত তার সঙ্গে থাকতে চান না, তখনই সিভিল স্যুট ফাইল করেছেন, যেহেতু ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয় নি তাই অ্যানালমেন্ট করেই দুজনে আলাদা হতে চান।