করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারছেন না তিনি। রাজধানীর এভার কেয়ারে হাসপাতালে চিকিৎসারত খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র ও লিভার- কিডনি সমস্যার কারণে বারবার জ্বরে ভুগছেন।
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে উপস্থিত সাংবাদিকদের দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের হার্টের সমস্যা আছে, সেটা না এগোলে লাঞ্চে যে মাঝে মাঝে পানি এসে যায় তা বন্ধ হবে না। ডাক্তাররা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা মনে করছেন, তার কিডনি এবং লিভার সঠিকভাবে কাজ করছে না। যে কারণে জ্বর চলে গেলেও আবার আসছে। গতকালও জ্বর এসেছিল। আমি চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তিনি (খালেদা জিয়া) হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। তার ফুসফুসেও বারবার পানি জমে যাচ্ছে।
এছাড়া তিনি জানান, চিকিৎসকরা মনে করছেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।এসময় বিএনপি মহাসচিব এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ইস্যু নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল।তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে বলেই খালেদা জিয়ার জন্মদিনের মতো বিষয়কে অযাচিতভাবে ইস্যু করছে।
মাসখানেক আগে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও আইনি বাধ্যবাধকতায় তা আটকে যায়।‘
৭৬ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। তিনি ছাড়াও তার বাসার আট সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ২৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাস পরীক্ষাতেও ফলাফল পজিটিভ আসে। ২৭ দিন আক্রান্ত থাকার পর খালেদার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
এরপর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার সেই আবেদনে অনুমতি দেয়নি।