লোহাগড়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৩ বন্ধু গ্রেফতার লোহাগড়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৩ বন্ধু গ্রেফতার – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

লোহাগড়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৩ বন্ধু গ্রেফতার

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১
  • ১৬৫ পাঠক
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কামারগ্রামের সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ এজাহারভূক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কামারগ্রামের এক কৃষকের কিশোরী কন্যা ও স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর (১৩) সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী কাশিপুর গ্রামের আমিনুর শেখের ছেলে অন্তর শেখের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জের ধরে গত ৫ জুন অন্তর শেখ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইল ফোনে ওই কিশোরীকে সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ইজিবাইকে করে লাহুড়িয়া- কল্যাণপুরের দিকে নিয়ে যায়।
পথিমধ্যে প্রেমিক অন্তর তার দুই বন্ধু লিকু ফকির ও জামিরুল শেখকে ইজিবাইকে তুলে নিয়ে নেয়। তারা রাত নয়টার দিকে ভদ্রডাঙ্গা বাতাশি গ্রামের জোড়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছে কিশোরীকে নামিয়ে তিনজনে মিলে একটি পাটক্ষেতের মধ্যে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য ফোনে ভিডিও ধারন করে রাখে।
ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে কিশোরীকে ভয় দেখায় তারা। পরে তারা ওই কিশোরীকে অন্তরের ফুফাতো ভাই সরশুনা গ্রামের আজিজুল মুন্সীর বাড়িতে নিয়ে রেখে চলে যায়।
খবর পেয়ে গভীর রাতে কিশোরীর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনকে জানায়।
এদিকে ঘটনার পর নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য সরশুনা গ্রামের মিশাম শেখ ও কামার গ্রামের আশরাফুল শেখ ধর্ষণের বিষয়টি থানা পুলিশকে না জানিয়ে ৬০ হাজার টাকায় বিনিময়ে মিমাংসা করে ফেলতে ওই কিশোরীর বাবাকে চাপ সৃষ্টি করেন।
এক পর্যায়ে ভয়ে কিশোরীর পরিবার চুপচাপ থাকে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ১০ দিন পর পুলিশের সহযোগিতায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লোহাগড়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন (মামলা নং- ১৪ তারিখ ১৫.৬.২১)।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য মিশাম শেখ বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়ে আমি মিমাংসা করতে কাউকে চাপ প্রয়োগ করিনি। আমাকে হয়রানিমূলক ভাবে আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ‘তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD