ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় শেষ হয়েছে। সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর একটানা ১৯ ঘণ্টা দেশের জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়।
আজ শনিবার সন্ধ্যার আগেই এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ৭টায় ভোটগ্রহণের মূল সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বহু মানুষ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করায় কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত রাত ২টায় ভোটাভুটি শেষ হয় তবে রাত ২টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত হতে পেরেছেন তাদেরকে ২টার পরও ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
পার্স টুডের খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে শুক্রবার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইরানব্যাপী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। এছাড়া বিশ্বের আরো ১০১টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানিদের জন্য ৪৫০টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়।এসব ভোটকেন্দ্রে প্রবাসী ভোটাররা বিপুল উৎসাহ নিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের বিভিন্ন শহরে কঠোর লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনের ভোট দেয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ ভোটকেন্দ্র খোলা হয়।হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যালটবাক্স পাঠিয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি, মোহসেন রেজায়ি, আব্দুন নাসের হেম্মাতি এবং কাজিযাদে হাশেমি।
এর আগে অন্যতম প্রার্থী মেহের আলীজাদে অপর সংস্কারপন্থী প্রার্থী আব্দুন নাসের হেম্মাতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান এবং অন্য দুই প্রার্থী আলীরেজা যাকানি ও সাঈদ জালিলি নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়ে সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন।
বিশ্বের ২২৬টি গণমাধ্যমের প্রায় ৫০০ সাংবাদিক ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর কভার করার জন্য ইরানে গেছেন।
ইরানের নির্বাচনি আইন অনুযায়ী কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট নেয়া হবে।