নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. ইলিয়াছ হোসেন (৩৯) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ভাই ও ভাতিজারা। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে বাউরকোট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইলিয়াছ ওই গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
আটকদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, বাউরকোট গ্রামের নুরুল ইসলাম দুই বিয়ে করেন। তার প্রথম ঘরে সন্তান শাহ আলম, সরোয়ার ও ইলিয়াছ। দ্বিতীয় ঘরে দুই মেয়ে রয়েছে। নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সৎ বোনদের ওপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালাতো শাহ আলম, সরোয়ার ও তাদের ছেলেরা। এনিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে বিচারও হয়েছে। কয়েকদিন আগে নিজ কর্মস্থল চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন ইলিয়াছ।
আজ বিকেলে সৎ বোনদের ওপর নির্যাতনের কারণ জানতে বড় ভাইদের কাছে যান ইলিয়াছ। এসময় তিনি তাদের এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ইলিয়াছকে মারধর শুরু করে শাহ আলম ও সরোয়ার। একপর্যায়ে শাহ আলমের দুই ছেলেসহ তারা চারজন ইলিয়াছকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ইলিয়াছকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার এক সৎ বোনকেও পিটিয়ে জখম করেন তারা। পরে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত ইলিয়াছ ও তার বোনকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইলিয়াছকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আকবর পলাশ জানান, ইলিয়াছের দুই সৎ বোন তাদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে মর্মে শাহ আলম ও সরোয়ারের বিরুদ্ধে গত দুইদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে যায়। অভিযোগটি পেয়ে বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছিলাম তার মধ্যে আজ এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গেলো।
চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে নিহতের সাথে থাকা দুইজনকে আমরা আটক করেছি। তাদের সোনাইমুড়ী থানায় হস্তান্তর করা হবে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।