মুক্তি পেলেন অন্যের হয়ে জেল খাটা সেই মিনু মুক্তি পেলেন অন্যের হয়ে জেল খাটা সেই মিনু – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

মুক্তি পেলেন অন্যের হয়ে জেল খাটা সেই মিনু

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
  • ২২০ পাঠক
চট্টগ্রামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমের হয়ে সাজা ভোগ করা মিনুর মুক্তি মিলেছে।আসামি কুলসুমের হয়ে জেল খাটা নিরপরাধ মিনু প্রায় ৩ বছর পর সাজা খেটে আজ মুক্তি পেয়েছেন।

বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মিনু আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে মিনু স্বজনদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যান।
এর আগে হাইকোর্টের আদেশের পরে মিনু আক্তারের আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতে মিনুর আক্তারের মুক্তির জন্য আবেদন করেন।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত মিনুর মুক্তির আদেশ দেন। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
জানা যায়, মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদের জের ধরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম খুন হন। ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার গৌরস্থান মাঝেরপাড়া গ্রামের আনু মিয়ার মেয়ে কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামীর নাম ছালেহ আহমদ। তিনি স্বামীর সঙ্গে কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে সাঈদ ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুম। পরবর্তীতে এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এক রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের দিন কুলসুম আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে পলাতক দেখিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।
এর পর ভাসমান বস্তিতে মিনুকে পান কুলসুম। মিনুর স্বামী ঠেলাগাড়ি চালক বাবুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে ভাসমান বস্তিতে থাকতেন।
মিনু ও তাঁর সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার প্রস্তাব দেন কুলসুমী। বিনিময়ে একদিন আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় মিনুকে। আদালতে হাজির হলে তাঁর জামিনও করিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
মিনু কুলসুমের কথায় রাজি হয়ে কুলসুম সেজে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম  আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং কারাগারে আসেন।এরপর নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন কুলসুম।  চলতি বছরের ২১ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের পক্ষ থেকে আদালতে একটি আবেদন করা হয়। এই আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে কারাগারে পাঠানো আসামির সঙ্গে প্রকৃত আসামির মিল নেই। এছাড়া কারা রেজিস্ট্রারে থাকা দুজনের ছবির মিল নেই।
এ আবেদনের শুনানি শেষে কারাগারে থাকা মিনুকে আদালতের হাজির করে তার জবানবন্দি নেয়। তখন তিনি আদালতকে জানান, তার নাম মিনু, তিনি কুলসুম নন।‘তিন বছর আগে মর্জিনা নামের একজন মহিলা ডাল-চাল দেবেন বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে জেলে ঢুকায় দেয়। আমি তখন ভাসমান বস্তিতে নিজের ঘরে ছিলাম।’
চট্টগামের আদালত মিনুর ঘটনা লিপিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য একটি নথি গত ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টে। পরদিন ২৪ মার্চ নথি হাইকোর্টে পৌঁছে যায়। এ অবস্থায় গত ৩১ মার্চ বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদালত কারাগারের রেজিস্ট্রারগুলো দেখে হাজতি আসামি কুলসুম ও সাজাভোগকারী আসামির চেহারায় অমিল খুঁজে পান। তখন আদালত কারাগারের রেজিস্ট্রারসহ একটি নথি হাইকোর্ট বিভাগে আপিল নথির সঙ্গে সংযুক্তির জন্য পাঠিয়ে দেয়।
পরে হাইকোর্ট গত ৭ জুন নিরপরাধ মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দেন।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD