খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
সোমবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং একজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
মৃতরা হলেন খুলনার দিঘলিয়ার আইয়ুব আলী (৫৬), নগরীর করিমনগরের আলমগীর খান (৫৯), বটিয়াঘাটার নিত্যানন্দ বিশ্বাস (৫৫) ও রামপালের খান তৈয়ব আলী (৭৫)। আর করোনা উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬১ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেড জোনে ১০২ জন, ইয়েলো জোনে ২০ জন, এইচডিইউতে ১৯ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।
অন্যদিকে, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ডুমুরিয়ার মাগুরঘোনা এলাকার একজন এবং গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার রাতে খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ১১১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৪৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার ৩১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া বাগেরহাটের ১৯ জন, যশোরের চারজন, সাতক্ষীরায় একজন, নড়াইলের দুইজন, গোপালগঞ্জের দুইজন, ঝিনাইদহের একজন এবং পিরোজপুরের দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়।
