করোনার সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল এবং এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ লকডাউন শুরু হয়।
শহরের দোকানপাঠ ও ছোট, মাঝারি বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও লকডাউন উপেক্ষা করে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূর পাল্লার বাস। সকালে পৌর এলাকার নতুন বাসটার্মিনাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যের দূর পাল্লার বাস ছেড়ে যায়। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, ডিস্ট্রিক গেইট, কুমুদিনী কলেজ গেট, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ভিক্টোরিয়া রোড, নিরালা মোড়, শান্তিকুঞ্জ মোড়, বেবীস্ট্যান্ড, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় পুলিশের চেক পোস্ট রয়েছে। শহরে শত শত মানুষকে পায়ে হেটেই গন্তব্যে পৌছাতে দেখা গেছে। লকডাউনে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু দোকানপাঠ খুলতে দেখা গিয়েছে।
জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে রাবনা বাইপাস হয়ে বাস চলাচল করছে। কোনো বাস শহরের প্রবেশ করছে না। আমরাও প্রশাসনের নির্শেনার সাথে এক মত।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানিয়েছেন, টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য পুলিশের ১৩টি চেক পোস্ট ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ৫টি চেক পোস্টের মাধ্যমে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে নতুন করে ৩৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট করোনা রোগী ৬৩৯৫ জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১০১ জন।