খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য মজুদের পরিমান আরও বাড়ানো হবে। যারা মনে করেন সরকারের খাদ্যের মজুদ কমে গেছে তাদের ধারনা সঠিক নয়।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে ‘বরিশাল স্টীল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে’ তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কার্যক্রম চলছে তার সাথে সঙ্গতি রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপয়োগী করা হচ্ছে। আঞ্চলিক খাদ্য কার্যালয়, জেলা কর্যালয়, উপজেলা কর্যালয়সহ খাদ্যগুদামসমূহ অনলাইন মনিটরিং এর আওতায় আনা হলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায় সে লক্ষ্যে স্টীল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে। আরও ৫টি স্টীল সাইলো শিঘ্রই নির্মানের কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, এসকল সাইলোতে কীটনাষক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে যা ২ বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুণগতমান ও পুষ্টিমান অক্ষুণ্ন রাখবে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ-ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেয়া সম্ভব হবে। স্টীল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই ক্ষণগণনা শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
পরে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।