রাজধানীতে বান্ধবীকে ভিডিও কল দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যাললের এক শিক্ষার্থী। তার নাম রুবিনা ইয়াসমিন নদী (২১)।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলবাগে এ ঘটনা ঘটে।
নদী বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে শাহজাহানপুর মালিবাগের ৩৯১ গুলবাগে এক বান্ধবী মিলে ওই ভবনের পঞ্চম তলায় সাবলেট থাকতেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।
দুই বান্ধবী পড়াশোনার পাশাপাশি আমজারা নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার রুমমেট বান্ধবী মারিয়াম সাংবাদিকদের জানান এসব তথ্য।
তিনি বলেন, রুবিনা ডেফোডিল ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগে পড়াশোনা করতেন, সেখানে একই বিভাগের সায়েম নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে সম্পর্ক করে বিয়ে করেন ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর /অক্টোবরে। বিয়ের তিন মাসের মাথায় ছেলের চরিত্রগত কারণে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
রুবিনার খালাতো বোন শরিফা সুলতানা বলেন, ওই ছেলেটার সাথে ছাড়াছাড়ির পরও বিভিন্ন সময় রুবিনার বান্ধবী মারিয়ামের ফোনে তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি ভিডিও পাঠাতো, সে তা রুবিনা কে দেখাতো। পরে তা ডিলিট করে দিয়েছিল। এসব নিয়ে সে মানুষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে থাকতো। তার দাবি ওই ছেলেটার এসবের কারণেই সে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
মারিয়ম বলেন, সে আজ কাজে যায়নি। আমি কাজে চলে যাই। বিকাল তিনটার সময়ে ফোন করে সে জানায়, আমার ভালো লাগছে না, তুই দ্রুত চলে আস, আমি মরে যাবো। পরে ভিডিও কলে সে দেখায় ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচচাচ্ছিল। পরে দ্রুত চলে যাই, গিয়ে দেখি ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতা ছিটকানি ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় খিদমাহ হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে সোয়া ছয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর মৃত বলে জানান।
ঢামেক হাসপাতালে সবুজবাগ ডিভিশনের এসি মনতোষ বিশ্বাস বলেন, ঘটনা শুনে এসেছি, প্রাথমিকভাবে শুনেছি সে আত্মহত্যা করেছে, প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যা না অন্য কিছু, তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।