সরকারঘোষিত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৬ষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল নেমেছে।
সরকারঘোষিত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৬ষ্ঠ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল নেমেছে।
রোববার ভোর থেকে ফেরিতে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী হাজার হাজার যাত্রীদের পারাপার করতে দেখা যায়।
এদিকে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় বিগত কয়েকদিনের চেয়ে এদিন আরও বেড়েছে যাত্রী পারাপার। একই সাথে পারাপার হচ্ছে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন।
সরেজমিনে সকাল থেকে দেখা যায়, নৌরুটের প্রতিটি ফেরিতেই অল্প সংখ্যক যানবাহন সাথে যাত্রীদের ভীর। তবে সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীর ভিড় ছিল চোখে দেখার মত। ঢাকা মুখি যাত্রীর সংখ্যা ছিলো কিছুটা বেশি। শুধু মাত্র পন্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হতেও দেখা যায়।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটে সহকারী ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) শাফায়েত আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভীড় রয়েছে। তবে গাড়ির চাপ নেই। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। জোর করে প্রতিটি যাত্রীরা ফেরিতে উঠে যায়।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্ন ভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এদিকে দেশে সোমবার লকডাউন শুরু হলেও বুধবার পর্যন্ত তা কিছুটা শিথিল থাকবে। খোলা থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
শনিবার (২৬ জুন) রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় লকডাউনের সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কেট, হোটেল–রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এই সময়ে কিছু কার্যক্রম চালু থাকবে। আর ১ জুলাই থেকে সাতদিনের জন্য শুরু হবে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন।