২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১১ জন ও ১ জন দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা। নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ২৭.৯০ শতাংশ, যা গত এক মাসে সর্বোচ্চ।
রোববার (২৭ জুন) আক্রান্তের হার ছিলো ১৭.১৪ শতাংশ। হঠাৎ করে একদিনের ব্যবধানে সংক্রমণের হার প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার সকালে ভোলার সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র আরো জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলায় করোনা শনাক্ত ২ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমিতদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৬ জন। নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২৭৬ জনের। একই সময়ে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলার বাইরে ও উপসর্গ নিয়ে আরো অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এ পর্যন্ত ৭৬৬ জন রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫০ জন। সেখানে বর্তমানে ১১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা-বরিশাল রেফার্ড করা হয়েছে ১৩৫ জন।
ভোলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই ভোলায় করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, লকডাউনের খবরে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর নোয়াখালীসহ ভারত থেকে মানুষ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে।
এদের মাধ্যমে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সাত উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জনের হোম কোয়ারেন্টান নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে জেলার বাইরে থেকে আসা ৬৩ জন হোম কোয়ারেন্টানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।