এতে জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের একমাত্র বাহন এখন ব্যাটারিচালিত পাখি ভ্যান ও রিকশা(স্থানীয় নাম)। পাখি ভ্যান ও রিকশায় করে সাধারণ মানুষকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
লকডাউনে বাস,সিএনজি ও অটোরিকশা বন্ধ থাকায় শহরের সড়কে এখন চলছে পাখি ভ্যান ও রিকশা। সোমবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,শহরের মজমপুর, চৌড়হাঁস, সাদ্দাম বাজার, হাসপাতাল মোড়, বড়বাজার, থানা ট্রাফিক মোড়, কলেজ মোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে ব্যাটারিচালিত পাখি ভ্যান ও রিকশা চলাচল বেড়েছে। আগের সময়ে শহরে পাখি ভ্যান দেখা না গেলেও এখন দেখা যাচ্ছে।
তবে সড়কে রিকশা চলাচলে ভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকেই পাখি ভ্যান ও পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছেন। এছাড়া সড়কে অল্পসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল করছে।
ভ্যানচালক মেহেদী বলেন,লকডাউনের কারণে এই সড়কে ভ্যান চলছে। তবে সকাল থেকে বেশি আয় করতে পারিনি। কেনো না শহরে মানুষের চলচল খুবই কম। পায়ে হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছেন তারা। কাজ না করলে সংসার চলে না।তাই করোনার ভয় নিয়েই ভ্যান চালাচ্ছি।
রিকশাচালক বাদল আলী বলেন,এই শহরে মানুষের চলাচল এখন একেবারেই কম। তাই ভাড়া হচ্ছে না। করোনায় আমাদের সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ঘরে থাকার উপায় নাই। প্রতিদিনের কাজের টাকা দিয়ে সংসার চলে।
পথচারী আশিক বলেন,ব্যবসার কাজের জন্য ঘর থেকে বের হয়েছি। ভ্যান রিকশাওয়ালারা বেশি ভাড়া চাচ্ছেন তাই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছি।