মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে বিকেলে ওই নারী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা ও তার ছেলেকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ছিনতাইয়ের কারণে খেয়াঘাটের ইজারা দেওয়ার দরপত্র স্থগিত করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবু (৫০) ও তার ছেলে লিঙ্কন মিয়া (২৫)।
মামলার বাদী রেনু আক্তার উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮, ৯ এর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, উপজেলার বহেড়াতৈল বাজার খেয়াঘাটের এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার লক্ষে গত ২১ জুন দরপত্র আহ্বান করার নোটিশ দেওয়া হয়। সিডিউল কেনার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয় ২৮ জুন। ১০ জন ব্যক্তি প্রতিজন ৫শ’ টাকা করে জমা দিয়ে সিডিউল কেনেন।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। পরে আজ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবু প্রথম সিডিউল জমা দেন। এরপর দুপুরে নারী ইউপি সদস্য রেনু বেগম দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের সামনে এলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা তার হাতে থাকা দরপত্র ছিনিয়ে নেন। এ সময় রেনু বেগম কান্নাকাটি করে ইউএনওকে বিষয়টি ফোনে জানান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
রেনু বেগম জানিয়েছেন, ওই নেতা ও তার ছেলে আমার হাত থেকে জোরপূর্বক দরপত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। দরপত্র কেড়ে নেওয়ার ফলে আমি সঠিক সময়ে জমা দিতে পারিনি।
সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) ছাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই নারী ইউপি সদস্য দুইজনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ওসি স্যার না থাকায় মামলাটি এখনো নথিভূক্ত (রেকর্ড) হয়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম নবু বলেন, আমি ও আমার ছেলে কোনো দরপত্র ছিনতাই করিনি। আমার বিপক্ষ দল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ওই নারী বাদী হয়ে সখীপুর থানায় অভিযোগ করেছেন। খেয়াঘাটের ইজারার দরপত্র আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।