মঙ্গলবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন।
তিনি বলেন, উনার মেয়ে বলেছিলেন ‘আব্বা মিসিং’। … বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ সিঁড়ির কাছে চিলেকোঠার ডেব্রিজ যেখানে তার নিচে চাপা পড়া অবস্থায় পেয়েছি।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহটি ওই ভবনে দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়কের। বিস্ফোরণের সময় থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এদিন সকালে ডিএমপির রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, মগবাজারে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
রমনা থানায় মামলা নং ৩২।
রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর রাজধানীর মগবাজারের রাখি নীড় নামের তিনতলা আবাসিক ভবনে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণ এতটাই প্রকট ছিল যে আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা ও পাশের রাস্তায় থাকা দুইটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহত সাতজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত সাতজন হলেন- কলেজশিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), প্রাইভেটকারচালক স্বপন (৩৯), বাসচালক আবুল কাশেম মোল্লা (৪৫), বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আল আমিন (৩০), শর্মা হাউসের পাচক ওসমান গনি, মা জান্নাত (২৩) ও তার নয় মাসের মেয়ে সোবাহানা।
এ নিয়ে মোট আটজনের মৃত্যু হল।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা করে ফায়ার, সার্ভিস, ওয়াসাসহ পুলিশের কয়েকটি বিশেষ দল।
আইজিপি ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পর এবার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটও জানাল, ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি।
এদিকে বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ রাখি নীড়ের মালিক।