গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নজরুল ইসলাম সরিষা ইউনিয়নের পালেরডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এঘটনায় তাঁর স্ত্রী রুনা পারভীন (৩৫) ও ছেলে তামিম (৮) আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি রাতে বাড়িতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ডাকাডাকি করতে থাকে এবং ঘর খুলে তাকে বের হতে বলেন। কিন্তু তিনি বিপদ আচ করতে পেরে ঘর থেকে বের হননি।
এরপর সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী ভেতর থেকে দরজা ভাঙতে বাধা দেন। ডাক-চিৎকার করে প্রতিবেশীদের এগিয়ে আসতে বলেন।
একপর্যায়ে জানালা দিয়ে ইউপি সদস্যকে গুলি করা হয়। স্ত্রী ও সন্তানকে ছররা গুলি করা হয়। তাদের উদ্ধার করে রাত পৌনে ১ টায় পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ১টার দিকে নারী ও শিশুসহ তিনজনকে এখানে নিয়ে আসা হয়। নজরুলের বুকের বাম পাশে বন্দুকের গুলি লেগেছে। এছাড়া তাঁর স্ত্রী রুনা পারভীন ও ছেলে তামিমকে ছররা গুলি করা হয়েছে। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত। পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। নজরুলকে রাতেই ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সৌরভ আহমেদ বলেন, রাতে তাকে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বুকের বাম পাশ দিয়ে গুলি প্রবেশ করে। গুলিটি বোগলের নিচ দিয়ে বের হয়ে গেছে। গুলির খোসা ভেতরে আটকে আছে কিনা বা ফুসফুসে আঘাত পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে।
রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন সাহা বলেন, ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গুলি ছোঁড়ার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।