ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আজ বুধবার শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রমনা থানার মামলাটিতে আসলামের ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুল হক।
এ মামলার ঘটনার সঙ্গে আসলামের সম্পৃক্ততা ছিল না দাবি করে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিন চান তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।
তিনি বলেন, আসলাম চৌধুরী আরেক মামলায় জামিন পাওয়ার পর নতুন করে মামলাটিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যে মামলায় এখনও অভিযোগপত্র হয়নি।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ চলাকালে হেফাজত ইসলাম, জামায়াতে ইসলাম, ছাত্রশিবির ও বিএনপির উশৃঙ্খল, উগ্রবাদী নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসামি মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর সঙ্গীয় নেতাকর্মীসহ রমনা মডেল থানাধীন নাইটিঙ্গেল থেকে মৌচাক পর্যন্ত জঙ্গিরূপ ধারণ করে ও বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে রাস্তার আশপাশে দোকানপাট, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের সরকাডির গাড়ি ভাঙচুর, ব্যাংকের এটিএম বুথ ভাঙচুর, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে তাদের নেতাদের নির্দেশ মোতাবেক পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং চাপাতি ও চাকু দ্বারা আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আসামি আসলামসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির মাঠ পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ নেতাকর্মীদের ইন্ধন ও তাদের মদদে এ ধরনের কার্যকলাপ করেছে মর্মে সাক্ষ্যপ্রমাণ গিয়েছে।