আজ বুধবার আব্দুল মুহিতকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে দুদক। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সকালে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আব্দুল মুহিতকে আটক করা হয়।
একইদিন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মুহিতসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, বাংকো পরিচালক শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত, এ. মুনিম চৌধুরী ও জামিল আহমেদ চৌধুরী।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ৬ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেড সিকিউরিটি আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) লেনদেন নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয়। এরপর তৎক্ষণাৎ ডিএসই’র কর্মকর্তারা গত ৭ জুন এ কোম্পানি বিশেষ পরিদর্শন করে সম্মিলিত গ্রাহক একাউন্টে ৬ জুন পর্যন্ত ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকার ঘাটতি লক্ষ্য করেন। বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মালিক পক্ষ বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শেয়ার আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ আছে।
এদিকে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ লিমিটেডের নির্বাহী মো. আল-মাসুদ মতিঝিল থানায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জানায়। পরে মতিঝিল থানা পুলিশ অভিযোগটি দুদকের তফসিলভূক্ত হওয়ায় তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করে গত ১৪ জুন পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে দুদকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর কমিশন এ বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করে।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত হিসাবের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ জুন বাংকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ডিএসই।