আজ বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবন থেকে ‘দেশের সামগ্রিক খাদ্য শস্যের ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক কৃষক অনেক আগেই ধান বিক্রি করে দিয়েছেন। মিল মালিকরা বলছেন যে, অতিরিক্ত লাভের আশায় কৃষক নন এমন অনেকেই ধান মজুদ করছেন। কেউ যদি অবৈধ মজুদ করে থাকেন তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষক ধানের নায্যমূল্য পেয়েছে। আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করলে প্রকৃত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
সরকারি চাল সংগ্রহ বন্ধ না করে এর পাশপাশি যেসব দেশে চালের দাম কম সেখান থেকে চাল আমদানি করে বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, খাদ্য চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে বেশি আমদানি কৃষকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, আবার কম আমদানি ভোক্তার জন্য কষ্টের কারণ হতে পারে।
তিনি বলেন, কৃষি নির্ভর অর্থনীতির দেশ আমাদের, কৃষির পাশপাশি শিল্প কারখানা বাড়িয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি বিশ্বাস, কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
সভায় বেসরকারি পর্যায়ে শুল্ক হ্রাস করে সীমিত পরিমাণ নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।