রোববার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটের সময় খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ভবনটি থেকে কেন গ্যাস লিকেজ হচ্ছে এবং ধোঁয়ার মতো দেখা গেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমাদের টিম। তারা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছে, ফিরলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
এর আগে তিতাস গ্যাসের এমডি আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বলেছেন, বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত ভবন এবং এর দুই পাশের ভবনে তিতাসের কোনো গ্যাস-সংযোগ নেই। ফায়ার সার্ভিস ভবনে যে গ্যাসলাইনের অস্তিত্ব পেয়েছিল, সেটি অচল বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
এদিকে ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিট।শনিবার রমনা থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্ত ভার তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মগবাজারের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় সর্বশেষ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ভবনটির আশপাশের শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় আহত পাঁচজন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।গত রবিবার ঘটনার দিনই ৭ জন নিহত হয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবারও ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়, বুধবার মারা যান ইমরান নামে এক যুবক। এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান নুরুন্নবী। দুপুরে রাসেল নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়।বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৯ জুন মামলা করে রমনা থানার পুলিশ।