করোনা প্রতিরোধে লকডাউন মেনে চলার জন্যে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা লকডাউন ঘোষণা করেছি। আপনারা অন্ততপক্ষে নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন এবং অন্যকেও সুরক্ষিত করেন, যেন করোনা আর বাড়তে না পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ শনিবার অপরাহ্নে একাদশ সংসদের ত্রয়োদশ (২০২১-২২ বাজেট অধিবেশন) অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে একথা বলেন। খবর : বাসস
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা আসতে শুরু করেছে। কোন অসুবিধা হবে না। সারাদেশে আমাদের মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা আমরা করবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে বলবো আমরা লকডাউন ঘোষণা করেছি আপনারা অন্ততপক্ষে নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন এবং অন্যকেও সুরক্ষিত করেন।’
টিকার বিষয়ে আর কোন সমস্যা হবে না এবং দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসায় তার সরকারের পরিকল্পনা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, টিকা আসতে শুরু করেছে। কোন অসুবিধা হবে না। মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারত থেকে করোনা টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু ভারতে করোনা বেড়ে যাওয়ায় তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে কিছুদিন আমাদের সমস্যা হয়েছিল। এখন আর সমস্যা নেই। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা এসে গেছে, আরও আসবে।
তিনি বলেন, যেখানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে সেখানে আমরা যোগাযোগ করছি। আরও কিনে আনবো। চীন, রাশিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র সব জায়গায় আমরা যোগাযোগ রেখেছি।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি আমরা ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনবো। বিনামূল্যে টিকা দেয়া হচ্ছে। আমরা অনেক টাকা দিয়ে টিকা কিনে এনেছি। কিন্তু জনগণের স্বার্থে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছি। আমরা সব কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেই গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের।
শেখ হাসিনা বলেন, টিকা দেয়ার পর স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে।
শিশুদেরও করোনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেনেশুনে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবো কিনা বিরোধী দলের উপনেতা ও সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জেনেশুনে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই একই অবস্থা। বাবা-মায়েরা চায় না তাদের সন্তানরা এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাক। আর যাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে নেই তারা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরও অধিবেশনে বক্তৃতা করেন।