তিনি বলেছেন, সরকারের সমালোচনায় মুখর বিএনপি ও এনজিও ব্যক্তিত্বদের করোনার এই সময়ে আর মানুষের পাশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য হাইফ্লো ক্যানুলাসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি মহামারীর প্রথম দিকে ফটোসেশন করেছে, এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ে দূরবীন দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর অনেক এনজিও দশজনকে কিছু দিয়ে ছবি তুলে সবাইকে দেখায়, বিদেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছেও পাঠায়। আর তাদের কেউ কেউ টকশো’তে সরকারের সমালোচনাই করে।
‘বিএনপি এবং এই সমস্ত সংগঠন যারা করোনার আগে এবং করোনাকালে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত তাদের কাউকে এখন আর মানুষের পাশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু তাদের সমালোচনা বন্ধ হয়নি’ বলেন তিনি।
মানুষের কল্যাণকে রাজনীতির ব্রত হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান জানান, জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, বেশিরভাগ সদস্যই আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে একাধিকবার। সারাদেশে প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মী করোনায় মারা গেছে, এরপরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে আছে। দলের পক্ষ থেকে সারাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও ২ কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে থাকেনি।
‘অপরদিকে বিএনপি নেতারা এখন শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তাকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কথা বলছে, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা আছে বলে মনে হয় না’ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে অনেক রাজনৈতিক দলের শেখা উচিত।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, নীলফামারী, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলার হাসপাতালের জন্য হাইফ্লো ক্যানুলা ও অন্যান্য করোনা সুরক্ষা সামগ্রী তাদের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।