এরপরের শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ঈদের ছুটির সাথে যোগ হলো আরও দুই দিন।
এই ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
আগামী ১১ জুলাই সন্ধ্যায় পবিত্র হজের মাস জিলহজ গণনা শুরু ও পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসবে।
এদিন যদি বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায় তবে ১২ জুলাই পবিত্র জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। ২১ জুলাই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
আর যদি ১১ জুলাই সন্ধ্যায় পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যায় তবে ১৩ জুলাই পবিত্র জিলহজ মাস শুরু হবে এবং ২২ জুলাই যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী পবিত্র ঈদ পালিত হবে।
এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারি দেশে ক্রমেই ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে। মরণঘাতী এই ভাইরাসে সারা দেশ আজ বিপর্যস্ত। সংক্রমণের ভয়াল রূপ নিয়ন্ত্রণে গত ১ জুলাই থেকে আরোপ করা হয়েছে ‘কঠোর লকডাউন’। আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাতে তা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এর মধ্যেই আজ সোমবার চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
দেশের এ পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউন ১৪ জুলাইয়ের পর আরো বাড়বে নাকি বাড়বে না কিংবা ঈদের ছুটিই বা কীভাবে পালিত হবে- তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ ঈদুল ফিতরের মতো শহরের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ ঈদুল আজহা ও গ্রামে গিয়ে উদযাপন করেন।
ঈদের আগে পরিস্থিতি বিবেচনায় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা দেখছি করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে ওঠা নামা করছে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আগামী ১২ অথবা ১৩ তারিখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিতে পারব। গভীরভাবেই এ বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের সময় নিয়ন্ত্রণ করাটা খুব কঠিন একটা কাজ। ওই সময়টাতে কী কী থাকবে, কী করলে ভালো হবে, কীভাবে করলে ভালো হবে, সে বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। সময় হলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। লকডাউনের সুফলটা ধরে রাখতে ওই সময়টাতেও চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি যেহারে বাড়ছে, ঈদের আগে সন্তোষজনকহারে না কমলে বিধিনিষেধ থাকবে। কিছু শর্ত হয়তো শিথিল করা হতে পারে।