দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: কী করবে বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: কী করবে বিএনপি – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: কী করবে বিএনপি

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১
  • ২২১ পাঠক
দলীয় ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে স্থানীয় কিংবা জাতীয় কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না বিএনপি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে দলটি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদও শেষ হতে যাচ্ছে।

আর নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন হবে সেটিও আমলে নিচ্ছে না এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। আগে তাদের চাওয়া নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার। তারপর নির্বাচন কমিশন গঠন।
যদিও এটি নিয়ে দলে এখনও কোনো হাঁকডাক নেই। দলীয় কর্মপন্থা ঠিক করায় ব্যস্ত শীর্ষ নেতারা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ বিগত দুটি জাতীয়সহ স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। জনগণের কাছে এখন এটা পরিষ্কার। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েও তারা আশাবাদী হতে পারছেন না।
আগে ‘নিরপেক্ষ সরকার’ চান তারা। সেই সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এটি হলেই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব। ফলে ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার’র তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোরালো দাবি নিয়ে মাঠে নামতে সংগঠন গোছাতে কাজ করছে বিএনপি।
আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। এই কমিশন নিয়ে মাঠের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি শুরু থেকেই ‘আস্থা’ সংকটের কথা জানিয়ে আসছিল। তবে শেষমেশ তাদের অধীনেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয় সরকারবিরোধী এই জোটের। পরে বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনেও অংশ নেয় বিএনপি। এতেও তারা আশানুরূপ ফল পায়নি। ফলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় দলটি। সেই ধারাবাহিকতায় চলমান পরিস্থিতিতে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি জোট।
জানতে চাইলে বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে একটি তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমান কমিশনের মতোই দুর্বল চরিত্রের তাঁবেদার ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হবে। ইতিহাস বুঝতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হলে দলীয় সরকারের অধীনে সম্ভব নয়। দলীয় সরকারের অধীনে কমিশন পদলেহনকারী ও সরকারের সেবাদাসী। তাই দলীয় সরকারের অধীনে নতুন কমিশন গঠন, আমরা আমলে নিচ্ছি না। আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হোক, তারপর সে সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ কমিশন হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। আগামীতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। দলীয় সরকারের অধীনে কেমন নির্বাচন হয়, তা দেশের মানুষ জেনে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের মিটিংয়ে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ তিনি বলেন, ‘সংগঠন পুনর্গঠন চলমান আছে। সব কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে কাজ চলছে।’
দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন দেখেছি, তার কোনোটি সুষ্ঠু হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র নস্যাৎ করে আমলাতান্ত্রিক, প্রশাসননির্ভর যে একমুখি শাসন চলছে, এর পরিবর্তন দরকার। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে কর্তৃত্ব আছে তার বাইরে গিয়ে নির্বাচন কমিশন সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তনে বিএনপি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে এখন আমরা সব নির্বাচন বর্জন করেছি। আগামী নির্বাচন নিয়ে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হবে।’
এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা এবং জনবিচ্ছিন্নতা আড়াল করতে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি কথামালার আড়ালে বৈপরীত্যের প্রদর্শনী মাত্র।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট এবং দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার অব্যাহত রাখা। অন্যদিকে রাষ্ট্র কাঠামোর শক্তিশালীকরণের কথা বলা বিএনপির দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘অথর্ব নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকার জনগণের ভোটের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেনি। দলীয় সরকারের অধীনে আমরা আর কোনো নির্বাচনে যাচ্ছি না। নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে লক্ষ্যে আমাদের যা যা করণীয় তাই করছি এবং করব।’
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী নিয়োগ পান।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD