তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে বর্তমান বিশ্ব মহাসঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেছেন এখন প্রতিযোগিতার নয় সহযোগিতা সময়। তিনি নিজেদের নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং পর্যটনের সুরক্ষা ও সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ডিজিটাল কোভিড ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী সোমবার (৫ জুলাই) কোভিড -১৯ এর ভ্যাকসিন বিষয়ক ডিজিটাল প্লাটফর্ম (CoWIN Global Conclave by Indian) তৈরির জন্য ভারত আয়োজিত ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ সরকারি ব্যবস্থানায় ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসহ নানা উদ্যাগের তথ্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, করোন ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম ও সার্টিফিকেট প্রদানে সারাদেশে এ প্লাটফর্ম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
পলক বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ও আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মানবসম্পদ উন্নয়ন , ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন ,ই-গভর্নেন্স এ ৪টি পিলার নিয়ে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন বিগত ১২ বছরে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে কোভিড কালীন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, লজিস্টিক, কৃষি পণ্য সরবরাহ ,বিনোদন ,ভার্চুয়াল কোর্টসহ সবকিছু সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি করোনা মোকাবেলায় গৃহীত কার্যক্রম টেলিমেডিসিন, করোনা ট্রেসার বিডি,সেল্ফ করোনা টেস্ট ,মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ফিনান্সিয়াল সার্ভিস, ডিজিটাল কনটেন্ট মুক্তপাঠ,ই লার্নিং সহ ডিজিটাল প্লাটফর্মে চালুসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে । পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ সকল কার্যক্রম মানুষের মানুষের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তিনি করোনা মোকাবেলায় সমগ্র বিশ্বকে একসঙ্গে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার বক্তব্যে করোনা মোকাবেলায় প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের তৈরি করোনা বিষয়ক অ্যাপ ‘আরগ্য সেতু’ ওপেন সোর্স প্লাটফর্মে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন দেশ এটি ব্যবহার করতে পারবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন, আফগানিস্তানের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মাসুমা কাওয়ারি, আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর ওয়াহিদ মাজরুহ, ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লইনপো ডিচেন ওয়াংমো,মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ,স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণসহ বিভিন্ন দেশের সচিব, ডাক্তার, প্রযুক্তিবিদ সহ ১৪২ দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।