সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রিকশা আর ভ্যানে করে মানুষ নিজের গন্তব্যে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লকডাউনের শর্ত অনুযায়ী এসব কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও কেউ তা করেনি। ফলে রিকশা বা হেঁটেই তারা গন্তব্যে যাচ্ছেন।
একই চিত্র বাসাবো ও মানিকনগর এলাকার। এখানকার অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ মতিঝিলের বিভিন্ন অফিস চাকরি করেন। এসব এলাকায় রিকশা ও ভ্যানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে।
সকাল থেকে নগরীর ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, বাড্ডা, দৈনিক বাংলা, বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, ধানমন্ডি, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়া রাজধানীতে আজ বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মানুষ আরও বেশি বের হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা থাকলেও অলিগলিতে সেলুন, মোবাইল এক্সেসরিজ, পোশাকসহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান খোলা শুরু হয়েছে, বিধিনিষেধে যেগুলো বন্ধ থাকার কথা।
ডিএমপি ট্রাফিকের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার এস এম বজলুর রশিদ বলেন, যেহেতু এই এলাকায় ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, অফিস সময়ের শুরুতে সকালের দিকে এই এলাকায় গাড়ির অল্প চাপ ছিল। তবে এখন আর তেমন চাপ নেই। আমরা চেক করছি, যৌক্তিক কারণ ছাড়া বের হলে চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
লকডাউনের শুরুতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০, তৃতীয় দিন ৬২১, এবং চতুর্থ দিনে ৬১৮, ও পঞ্চম দিনে ৫০৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। সোমবার পুনরায় আগামি ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে নতুন করে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে সরকার।