আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির একটি প্রতিনিধি দল তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এসময়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বরাবর কৃতজ্ঞতাপত্র হস্তান্তর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহসভাপতি ডিপজল এবং রুবেলসহ চিত্রতারকা রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, তমা মির্জা, মিষ্টি জান্নাত, ববি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রণীত এবং চলচ্চিত্রশিল্পীদের বহু প্রতীক্ষিত ‘চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২১’ ৩ জুলাই জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য চলচ্চিত্রশিল্পীদের দাবি অনেক পুরনো হলেও আগে কেউ এতে কর্ণপাত করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যখন চলচ্চিত্রশিল্পীরা এই দাবি উত্থাপন করেন, তখন তিনি এটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, দেশে যখন লকডাউন চলছে, সেই পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা দিনরাত কাজ করে আইনটি সংসদে নিয়ে গেছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশের সকল শিল্পীর জন্য সবসময় উদারপ্রাণ, উদারহস্ত এবং তার কাছে আবেদন না করলেও কোনো বিষয় তার চোখে পড়লে তিনি সবসময় সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন এবং চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণকে একটি স্থায়ী কাঠামো দেবার জন্যই এই ট্রাস্ট, উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, সরকার সারা দেশে স্বল্প সুদে সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করেছে।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের পক্ষে অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগর, জায়েদ খান ও অরুণা বিশ্বাস তাদের বক্তৃতায় কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামাতের প্ররোচনা ও ব্যবস্থাপনায় একটি গোষ্ঠী বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু ওয়েবপোর্টালে দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটায়। দেশবাসীকে এসব গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার থাকার আহবান জানান তিনি।’