সাতক্ষীরার কলারোয়ায় রেজাউল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ওফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে বসন্তপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শেখ রেজাউল ওফাপুর গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল গফুরের ছেলে।
নিহতের ছেলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শেখ রিপন হোসেন জানান, ‘ওফাপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদ ঢালীর ছেলে উজ্জ্বল হোসেন, আবজাল হোসেন ও আজগর হোসেন বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার ওই সময় তারা ওফাপুর স্কুলের সামনে বসন্তপুর মোড়ে আমার পোল্ট্রির দোকানে এসে আবারো চাঁদা দাবি করে।
এ সময় চাঁদা না দেয়ায় তাদের সাথে আমার উচ্চবাক্য বিনিময় হয়। পরবর্তীতে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারাসহ একই গ্রামের আনারুলের ছেলে হৃদয়, ওমর মোড়লের ছেলে রুলামিন, আমিনুদ্দীনের নাতিছেলে ইমানালী, কাদের ঢালীর ছেলে আব্দুল মাজেদ ঢালী, হায়দার আলী, রনি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার দোকানে এসে আমাকে মারপিট শুরু করে।
এক পর্যায়ে আমার বাবা ছুটে আসলে তাকেও মারপিট করে এবং বুকে কয়েকটি লাথি মারলে আমার বাবা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে আমিসহ কয়েকজন আমার বাবাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।’
অভিযুক্ত উজ্জ্বল হোসেন জানান, ‘পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শেখ রিপনের কাছে তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।’
কলারোয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার অহিদুজ্জামান জানান, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান। শুনলাম মারামারির ঘটনায় মারা গেছে। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি।’
কলারোয়া থানার ওসি আলহাজ্ব মীর খায়রুল কবীর জানান, ‘হাসপাতালের মাধ্যমে জানতে পারলাম মারামারির ঘটনায় ওই ব্যক্তি মারা গেছে। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, ‘ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।’