পোষা প্রাণি শুধুই পোষ্য নয়, পরিবারের সদস্য। তাই তার যত্নের প্রতি আলাদা করেই নজর দিতে হয়। তার উপর যদি আপনার পোষ্যটি হয় অন্তঃসত্ত্বা, তাহলে তো যত্নটা আরও বেশি হওয়া দরকার। আর করোনা আবহে এটা যেন আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই চাইলেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না আপনার পোষ্যকে। নো চিন্তা বাড়িতে যত্ন নিতে পারেন আপনার পোষ্যের। যদি আপনার বাড়িতে পোষ্য কুকুর থাকে, যে অন্তঃসত্ত্বা তাহলে খুব সহজে বাড়িতেই দেখভাল করুন।
মায়ের থেকে খুব সহজেই বাচ্চাদের শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। তাই আপনার পোষ্য কুকুরের ভ্যাকসিনেশন আগে থেকেই সেরে রাখুন। এক্ষেত্রে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। দেখে নিন ঠিক সময়ে যেন ভ্যাকসিন পায়।
এই সময়ে সাধারণত কুকুরের পেটে কৃমি হওয়ার প্রবণতা থাকে। লক্ষ্য রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে কৃমিনাশের ওষুধ দিন।
পোষ্যকে এই সময় সারাদিন শুয়ে থাকতে দেবেন না। তাকে অল্প স্বল্প এক্সারসাইজ করান। বিকেলের দিকে কিছুটা হাঁটান। তবে বল নিয়ে দৌড় একদম নয়।
এই সময় পোষ্যকে নিয়ে বাইরে বের হলে লক্ষ্য রাখুন পোষ্য যেন বাইরের নোংরা মুখে না দেয়। এতে সংক্রমণ হতে পারে।
হাতের সামনে সবসময় পোষ্যের জ্বর মাপার ডিজিটাল থার্মোমিটার, পরিষ্কার কাপড়, তুলো, অ্যান্টিসেপটিক রাখুন। প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে ডাক্তারকে ফোন করুন দ্রুত।
সতর্ক থাকুন–
১. বাচ্চা প্রসবের পরে যদি পোষ্যের জ্বর আসে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
২. বাচ্চা প্রসবের সময় যদি বাচ্চা বের হতে অসুবিধা হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৩. বাচ্চা প্রসবের পরেও যদি জ্বর কমতে না চায়, বাচ্চাদের থেকে মাকে দূরে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. নিজে কোনো ডাক্তারি করার চেষ্টা করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।