বৃহস্পতিবার এক বিবৃবিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে এখন সারা দেশই করোনার হটস্পট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সাথে ভয়াবহ ভাবে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এক কোটি তিন লাখ ডোজ পেয়ে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষকে দেওয়া হয়েছে। ১৪ লাখ ৪০ হাজার জন দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। যারা দ্বিতীয় ডোজ পায়নি তাদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ জানে না।
জিএম কাদের বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে কমপক্ষে দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারলেই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। সে অনুযায়ী ১৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে শতকরা হিসাবে মাত্র ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সূত্র অনুযায়ী বর্তমানে বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রাপ্ত টিকার মজুদ মাত্র ৫৭ লাখ, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আবার সরকারি ভাবে বলা হয়েছে প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে, যাতে প্রয়োজনীয় জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে এক ডোজ করে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লেগে যাবে এবং দুই ডোজ করে দিতে গেলে এর প্রায় দ্বিগুন সময় লাগবে। সেটাও সম্ভব হবে যদি সময় মত বাকী টিকা পাওয়া যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছে, করোনার টিকা নিলে আক্রান্তের হার যেমন কমে তেমনি ভাবে কমে যায় আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকি।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আশংকা প্রকাশ করে বলেন, যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে করোনা দেশকে কোন অবর্ননীয় ভয়াবহতার দিকে নিয়ে যাবে সে বিষয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। মহামারি করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুততার সাথে গণটিকা কর্মসূচি আরো জোরালো করতে হবে।