আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এর আয়োজন করে।
আইজিপি বলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েভের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে আমাদের প্রত্যেকের আচরণের ওপর৷ বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় বের হবেন না। দুই সপ্তাহ বাসায় বসে থাকা খুব বেশি কিছু না, যদি এর জন্য আমরা আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত ভালো থাকতে পারি।
বেনজীর বলেন, গুলশান এলাকায় অনেক ট্রাফিক বেড়ে গেছে৷ প্রত্যেকেরই জরুরি কাজ। এই মহামারীতে যদি ১৮ কোটি লোক আক্রান্ত হয়, প্রত্যেকের জন্য হাসপাতালের বেড দেওয়া সম্ভব না।
তিনি বলেন, দয়া করে রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না। জরুরি কাজ একটু কমান। এই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করব কিনা সেই সিদ্ধান্ত আমাদের।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, এই করোনা দুর্যোগও আমরা মোকাবিলা করতে পারব, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং আমাদের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে। যে যেখানে আছি, সেখান থেকে কাজ করতে হবে।
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার মানুষকে নগদ ৫০০ টাকা, খাবার এবং সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দেশের ক্রান্তিকালে ব্যবসায়ীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন আইজিপি।
তিনি বলেন, এই দুর্যোগের দিনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের রাষ্ট্রীয় কর্তব্য, ধর্মীয় কর্তব্য। এই ধরনের কাজে যদি সহযোগিতা লাগে, তাহলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আপনাদের সাথে আছে। যদি আপনি সাহায্য করতে চান, কিন্তু আপনার সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, আমাদের বলবেন, আমরা পৌঁছে দেব আপনার পক্ষ থেকে। আসুন আমরা হাতে হাত ধরে কাজ করি এবং এই দুর্যোগ অতিক্রম করি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।