আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনো কারখানার দুটি ফ্লোরে উদ্ধার চালানো বাকি আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ সকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই কারখানার সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জড়ো হয়ে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক পর্যায়ে এই বিক্ষোভে এলাকাবাসীর পাশাপাশি বহিরাগত কিছু ব্যক্তি যোগ দেন। তারা দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে শটগান কেড়ে নেন। কারখানার ভেতরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে তারা আবারও জড়ো হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন।
স্বজনের ভাষ্য, নিখোঁজ শ্রমিকদের বেশির ভাগ কারখানা ভবনের চতুর্থ তলায় আটকে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা ভবনের ছাদে জড়ো হন। ছাদসহ বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেকে। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন বেশ কিছু শ্রমিক।