রবিবার দুপুরের দিকে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মোছা. জিমি খাতুন (১২) ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার বেলতলা সুমন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার (১৩)। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।
এছাড়া দুজনই স্থানীয় ভীমজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মিমের বাবা-মা ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করেন।তাই ভাটরা গ্রামস্থ নানা সুমন আলীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত মিম।
আজ বেলা ১১টার দিকে ওই দুই স্কুলছাত্রী অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে সাঁতার না জানা জিমি খাতুন পানিতে ডুবে যায়। তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যায় ফুফাতো বোন মিম আক্তার। কিন্তু সেও পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
এসময় অন্য শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পাশাপাশি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সংবাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের লাশ ভেসে উঠে।
ভাটরা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়ির মধ্যে থেকেই শিশু-কিশোরদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাই। পরবর্তীতে পানিতে ডুবে যাওয়া ওই দুই শিশুদের উদ্ধারে বহু চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো যায়নি।’
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই বোন নিখোঁজ হয়েছে- এমন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুঁটে যাই। সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও ছিলেন। তবে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশ পানিতে ভেসে উঠে। তাই সেখানে গিয়ে তাদের মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।