ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০ লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ইতালি।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হয় ম্যাচে ১(৩) : ১ (২)-এ জয় রবার্তো মানচিনির দলের। সবশেষ যারা ইউরো শিরোপা জিতেছিল ১৯৬৮ সালে।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলো চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো কাপের টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে যায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
প্রথমার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড ১-০ লিড ধরে রেখে বিরতিতে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধ সমতায় ফেরে ইতালি। নির্ধারিত সময় ১-১ সমতায় শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। সেখানেও সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে নির্ধারন হয় ম্যাচের ভাগ্য।
যেখানে দুটি শট রুখে ইতালির জয়ের নায়ক গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। জর্ডান স্যাঞ্চো ও বুকায়ো সাকার গোল রুখেছেন তিনি। মার্কাস রাশফোর্ডের শট ফিরে পোস্টে লেগে।
ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডও দুটি-দুটি শট রুখেছেন, কিন্তু তবু পরাজয়ের বেদনায় পুড়েন তিনি।
প্রথম শট থেকে ইংল্যান্ড ও ইতালি দুই দলই গোল পায়। ইতালির পক্ষে বেরারদি ও ইংলিশদের পক্ষে কেইন গোল করেন।
তবে বেলোত্তির নেওয়া ইতালির দ্বিতীয় শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। ইংল্যান্ডের পক্ষে হ্যারি মাগুইর গোল করলে দলটি ২-১ এ এগিয়ে থাকে।
ইতালির পক্ষে তৃতীয় শটটি নেন বোনুচ্চি, গোল করতে ভুল করেননি তিনি। তবে ইংলিশদের পক্ষে গোল মিস করেন রাশফোর্ড। পোস্টে লেগে ফিরে তার শট। ফলে তিনটি করে শটের পর ২-২ এ সমতা থাকে।
চতুর্থ শটে গোল করেন ইতালির বার্নারদেসচি । আর ইংলিশদের পক্ষে স্যাঞ্চোর নেওয়া শট রুখে দেন দোন্নারুমা। তাতে ইতালি এগিয়ে থাকে ৩-২।
দলটির পক্ষে পঞ্চম শটটি নেন জোরগিনহোর। যা রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। কিন্তু ইংলিশদের সাকার শট দোন্নারুমা রুখে দিলে শিরোপার আনন্দে মাতে ইতালি।
ম্যাচে ও টাইব্রেকার দুই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়েও জয় পায় ইতালি।