আজ বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বিপণনে বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রাণিজ পণ্যের বিপণন বিষয়ে মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কোরবানি উদযাপন করতে গিয়ে যাতে আমরা বিপদ ডেকে না আনি সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করছেন। এ কাজের প্রক্রিয়ায় যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তবে ধরে নেয়া হবে করোনাকালে মানুষের সমাগম এড়িয়ে সুন্দরভাবে কাজ করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনলাইন পদ্ধতিতে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে যাদের প্রমাণাদি আছে তাদেরকে যাতে পথে হয়রানি করা না হয় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। হয়রানি করলে সেটা চাঁদাবাজি হবে, ফৌজদারি অপরাধ হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
কোরবানির হাট-বাজারে যাতে চাঁদাবাজি বা ডাকাতি না হয় এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগে সম্পৃক্তদের নজরদারি বাড়ানোর জন্য এসময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত ১ কোটি ১৯ লাখ গবাদিপশুর একটিও অবশিষ্ট থাকবে না। অনলাইনে ২৫ শতাংশ গবাদিপশু বিক্রয় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।