ঈদ পরবর্তী নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, কর্মস্থলে ফেরার পথে মানুষের গাদাগাদি রোধ, পথে পথে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য কমানোর উদ্দেশ্যে চলতি বিধিনিষেধ শিথিলের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এ দাবী জানান তারা।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতিতে ‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কমিটির’ সদস্যরা যখন দেশে কারফিউ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক তখনই সরকার মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনা করে আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত আটদিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সব শ্রেণির গণপরিবহণ চালু করা হচ্ছে।
এতে করে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষ সাতদিন ধরে পবিত্র ঈদুল আজহা পালনের জন্য গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেলেন।
অথচ আমাদের দেশে রাস্তা ও গণপরিবহণ সংকটের কারণে ঈদুল আজহার পরের দিন অর্থাৎ ২২ জুলাই মাত্র একদিনে গ্রামের বাড়ি থেকে রাজধানীতে বা কর্মস্থলে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
অন্যথায়, ২২ জুলাই কর্মস্থলে ফেরার জন্য একদিনে সবাই রাস্তায় নামলে যানজট, জনজট, গণপরিবহণ, ফেরিঘাট, টার্মিনালে মানুষের গাদাগাদিতে ভয়াবহ ভোগান্তির পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে।
এতে করে গত ১৪ দিনে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়ে কঠোর লকডাউনের অর্জিত ফলাফল শূন্যের কোটায় পৌঁছাবে বলে মনে করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ-পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার আজ মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত ঈদুল আজহা পালনে চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করেছে।
আবার ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত আগের কঠোর লকডাউন শুরু হবে।