আজ বুধবার বিকেলে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারগণকে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া, কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ ব্যতিরেকে কোরবানির পশুবাহী যানবাহন না থামানোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
তিনি সড়ক ও নৌপথে পশুবাহী ট্রাক বা লঞ্চে নির্দিষ্ট হাটের নাম উল্লেখ করে ব্যানার টানানো এবং এক হাটের পশুবাহী গাড়ি অন্য হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হাট কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।
বর্তমান অতিমারিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোরও অনুরোধ জানান আইজিপি।
দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেন আইজিপি।
ঈদের ছুটিতে চুরি ও ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুলিশি টহল এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করেন আইজিপি। এ প্রসঙ্গে চৌকিদারি ব্যবস্থাকেও কাজে লাগাতে উদ্যোগ নিতে বলেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে জঙ্গি ও উগ্রপন্থা নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের যে কোনো তৎপরতা রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ পুলিশি কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্য মাধ্যমে কেউ যেন গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে অথবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন আইজিপি।