প্রতি বছরই ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর বেচাকেনায় নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে যায়। এবার করোনা মহামারির সময়ে বাজারে যেন নগদ অর্থের সংকট না হয় সেজন্য আসন্ন ঈদে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এবার ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি নতুন নোট বাজার ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে আর্থিক খাতের এই রেগুলেটরি সংস্থাটি।
বুধবার (১৪ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বছরের সব সময়ই নতুন নোট ছাপানো হয়। তবে ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বেশি থাকায় ছাপানোর পরিমাণও বাড়াতে হয়। কোরবানি দেওয়ার জন্য অনেকে পশু কিনবে। এতে নগদ টাকার লেনদেন বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন নোট ছাড়া হচ্ছে। ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার সব নোটই ছাপানো আছে।
তবে কোরবানিতে পশু কেনাবেচায় বড় অংকের লেনদেন বেশি হয়। তাই এবার ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বেশি ছাড়া হচ্ছে। পাশাপাশি আগের মতোই সমপরিমাণ পুরাতন নোট বাজার থেকে অপসারণ করা হবে। ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি নতুন নোট সরবরাহ করতে প্রস্তুতি রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। চাহিদা অনুযায়ী নতুন নোট সরবারহ সম্ভব বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র একেএম মহিউদ্দিন আজাদ বলেন, চাহিদা-সরবরাহ নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সারা বছর বাজারে নোট সরবরাহ করে। করোনার কারণে এবার নির্ধারিত কোনো লক্ষ্য নেই। তবে ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী নোট সরবরাহ করা হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউন্টারের মাধ্যমে কোনো টাকা দেওয়া হবে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে চেক নিয়ে আসবে সে অনুযায়ী আমরা টাকা দেব।
তিনি জানান, বিধিনিষেধের কারণে ব্যাংকের লেনদেনের সময় কম। ঈদের আর কয়েক দিন ব্যাংক খোলা থাকবে। এ সময় লক্ষ্য ঠিক করে নোট দেওয়া সম্ভব না। আমাদের পর্যাপ্ত নতুন নোট দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে।
এদিকে গত বছর ঈদুল আজহায় ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি থাকলেও ২২ হাজার কোটি টাকার মতো নতুন ছাড়া হয়। আর গেল ঈদুল ফিতরে ১৪ হাজার নতুন নোট বাজারে ছাড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।