জাপার তরী ভিড়বে কোথায় জাপার তরী ভিড়বে কোথায় – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

জাপার তরী ভিড়বে কোথায়

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১
  • ২২০ পাঠক
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেই ভাঙল জাতীয় পার্টি (জাপা)। গতকাল বুধবার এরশাদের স্ত্রী সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান করে জাপার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়াও এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক এবং ছেলে রাহগীর আল মাহি শাদকে (শাদ এরশাদ) কো-চেয়ারম্যান পদে রাখা হয়। এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদকে করা হয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
আর এ নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে আবারও ভাঙনের ঘণ্টা বাজালেন এরশাদ-বিদিশাপুত্র শাহতা জারাব এরিক।
বুধবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর বারিধারায় এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কে তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলেই এরিক এ কমিটির ঘোষণা করেন।
নতুন কমিটি গঠনের নেপথ্যে থেকে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। শেষে ছেলে এরিককে দিয়ে দিলেন নতুন কমিটির ঘোষণা। দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন বিদিশা।
অনুষ্ঠানে এরিক বলেন, ‘বাবা যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন রাতের আঁধারে চাচা জিএম কাদের বাবাকে জিম্মি করে অবৈধভাবে পার্টির চেয়ারম্যান পদে স্বাক্ষর করিয়েছিলেন। এগুলো আটকাতে হবে, প্রতিহত করতে হবে। জিএম কাদের অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদটি নিয়েছেন, আমরা তাকে মানি না।’
একই অনুষ্ঠানে বিদিশা বলেন, ‘আমরা এরিক এরশাদের ঘোষণা মেনে চলব। এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। দুই সন্তানকে পাশে নিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে বার্তা দেব। এরশাদ কী করেছেন, সবাইকে সেটা মনে করিয়ে দেব।’
জানতে চাইলে বিদিশা বলেন, ‘আমরা সারা দেশে কমিটি দেব। সময় মতোই সব কিছু হবে।’
অনুষ্ঠানে একটু কৌশলী জবাব দেন শাদ এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা জঞ্জালমুক্ত থাকতে চাই। বাবার জন্য দোয়া চাই।’
প্রেসিডেন্ট পার্কের স্মরণসভায় কাজী মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।
এদিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) নামে নতুন কমিটির বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেন, ‘দল করার বিষয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে একসঙ্গে দুটি দল কেউ করতে পারবেন না। গঠনতন্ত্রে এটা স্পষ্ট লেখা আছে।’
জাপার নতুন কমিটি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, ‘এটা আমরা জানি না। এটা আমরা গ্রহণ করিনি। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক দল করার অধিকার যেকোনো মানুষেরই আছে, তবে কেউ একসঙ্গে দুটি দল করতে পারবেন না।’
জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এরশাদ না থাকলে জাতীয় পার্টি থাকবে না, আজ আমরা সে ভুল প্রমাণ করেছি। জাতীয় পার্টি একটি আদর্শ। জাপা সংসদে যেভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে, আমার মনে হয় না এমনটা আর কেউ করতে পেরেছে।’
নতুন কমিটি প্রসঙ্গে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এটা বোগাস কমিটি। আলোচনায় থাকার জন্যই বিদিশা এমনটা করছেন। বিশেষ করে এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য না করায় তিনি ইন্ধন জুগিয়ে নতুন কমিটি দিয়েছেন। অথচ রওশন এরশাদই কিছু জানেন না।’
সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘চেয়ারম্যান এরশাদ মারা যাওয়ার পর একবার ঝামেলা হয়েছিল। আমি মহাসচিব হিসেবে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দিয়েছি। এখন বিদিশা যা করছেন, এগুলো কর্মচারীর মতো।’
বিদিশার সারাদেশে কমিটি দেওয়ার ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি তারা সারা দেশে কমিটি দিতে পারেন তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এসব ভণ্ডামি।’
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান এরশাদ মারা যাওয়ার পর কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের নির্বাচিত হয়েছেন। শতভাগ নেতাকর্মী জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিতে আছেন।’
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনে সব তথ্য জমা আছে। পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম এবং প্রতীক লাঙ্গল বরাদ্দ আছে। পার্টির আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে নিয়মিত জমা দেওয়া হচ্ছে। এ নামে চাইলেই আরেকজন একটি পার্টি ঘোষণা করতে পারেন না। এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।’

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের আটজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। ডেভিল হান্ট অপারেশনের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের জেলার বিভিন্ন থানায় আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আটক আওয়ামী লীগ নেতাদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, বাসাইল থানা ও মির্জাপুর থানা পুলিশের সমন্বয়ে বাসাইল এসআরপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জুকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। রঞ্জু বাসাইল পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও এলাসিন ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার তারিকুল ইসলাম সেন্টু এবং দেলদুয়ার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফ হোসেনকে আটক করে। গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও ঝাওয়াইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থক অমল চন্দ্র বসাক। মির্জাপুর উপজেলার লতিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও সার ব্যবসায়ী আব্দুল করিম মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘাটাইলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন থানায় আরো ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, দুই থানার যৌথ অভিযানে রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে মির্জাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোয়েব আহম্মেদ জানান, অভিযানে আওয়ামী লীগের তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযানে জেলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD