আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে সকল গণপরিবহন, দোকানপাট ও বিপনি বিতান। আর এ সুযোগে করোনা সংক্রমণের কথা ভুলে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ কেনাকাটায়।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো এলাকার মার্কেটগুলো খুলতে শুরু করে। দোকান খোলার পরপরই বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগমও বাড়তে থাকে।
নগরীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, এসএমএ রব শপিং কমপ্লেক্স, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, কবি নজরুল মার্কেট, জব্বার মার্কেট, নান্নু মার্কেট, খুলনা বিপনী বিতান কেন্দ্র, মশিউর রহমান মার্কেট, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, এশা চেম্বার, আক্তার চেম্বার ও জলিল টাওয়ারসহ বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। ক্রেতাদের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব নেই বললেই চলে।
ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে আসা আফজাল খান তার পরিবার নিয়ে ঈদ কেনাকাটার জন্য এসেছিলেন। মার্কেটগুলোতে মানুষের ভিড় দেখে বলেন, ভেবেছিলাম খুব একটা ভিড় হবে না। কিন্তু এতো দেখছি মানুষের মিছিল।
নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডের গৃহবধূ রুমা আক্তার বলেন, করোনার মধ্যে মার্কেটগুলোতে এতো মানুষ হবে ভাবতেই পারিনি। উপচেপড়া ভিড় দেখে মনে হচ্ছে, মানুষের মধ্যে করোনার ভয় নেই।
এসএমএ রব শপিং কমপ্লেক্সের খান শাড়ি প্যালেসের কর্ণধার মো. শাহীন খান বলেন, ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার দোকান খুলেছেন। শিথিলতার প্রথমদিন বেচাবিক্রি বেশ ভালই হয়েছে। দোকানের মধ্যে তেমন ভিড় করতে দিচ্ছেন না তিনি। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে, দোকানীরা যা বলছেন, বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন।
সরেজমিন দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে দলেদলে ঢুকছেন ক্রেতারা। যাদের অধিকাংশের মুখেই কোনো মাস্ক ছিল না।
দুপুর ১টায় খুলনা বিপনি-বিতান কেন্দ্রের নিউ পাঞ্জাবি হাউসে গিয়ে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা যায়। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানতে কাউকে দেখা যায়নি।
অ্যাপেক্স গ্যালারি খুলনার ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন জানান, ৩ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফিটের দোকানে ১২ জনের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
রয়েছে তাপ মাপার যন্ত্র, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কোনো ক্রেতার মুখে মাস্ক না থাকলে তাকে মাস্ক পরিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি কঠোরভাবে দোকান পরিচালনা করছেন বলে উল্লেখ করেন।