চীন থেকে আরও ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে আসছে আজ শনিবার। সরকারের ক্রয় চুক্তির দ্বিতীয় চালান হিসেবে সিনোফার্মের এই টিকা আসছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই চীন থেকে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে। চীনের সঙ্গে দুই দফায় সরকার তিন কোটি ডোজ সিনোফার্মের টিকা কেনার চুক্তি করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের চুক্তির আওতায় ২০ লাখ ডোজ টিকার দুটি চালান আজ ঢাকায় পৌঁছবে। চীন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ টিকা পাঠাবে। এ ছাড়াও চীন থেকে উপহার হিসাবে দুই দফায় সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।
দেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারের কেনা ৭০ লাখ ডোজ এবং ভারত উপহার হিসাবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ। চীনের সিনোফার্ম থেকে এসেছে কেনা টিকার ২০ লাখ ডোজ এবং উপহার হিসেবে চীন দিয়েছে ১১ লাখ ডোজ।
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজারের টিকা এসেছে ১ লাখ ৬২০ ডোজ এবং মর্ডানার ২৫ লাখ ডোজ। এ টিকা দিয়ে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি চলছে। দেশে এ পর্যন্ত টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ২ লাখ ৫২ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকার দুই ডোজ দিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৮ জন, প্রথম ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন ১৫ লাখ ২৩ হাজার ২৯৫ জন।
ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৮১ জন, মর্ডানার টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭১ জন এবং সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছেন ৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৯ জন। সবমিলিয়ে টিকা কর্মসূচির আওতায় এসেছেন ৬৬ লাখ ৩১ হাজার ১৩৪ জন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এ মাসেই কোভ্যাক্স থেকে আরও কিছু টিকা দেশে আসবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা থাকলেও মাত্র ৭০ লাখ টিকা দিয়ে ভারত রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে।
এরপর টিকা পেতে বাংলাদেশ চীন রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তৎপরতা শুরু করে। এর ফলে চীনের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি হয়।
সে অনুযায়ী জুনের শেষে দেশে প্রথম চীনের টিকা আসে। বর্তমানে দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এ টিকা দেয়া হচ্ছে।