সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতার অবৈধ পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটের ইজারাদের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বারুহাস হাটে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই বারুহাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটের ইজারাদার মাসুদ রানাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের হামলা ও মারধরের ঘটনায় শুক্রবার রাতে তাড়াশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ চন্দ্র বাদী হয়ে এজাহার নামীয় আটজনসহ অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাড়াশ থানার এএসআই আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, সরকারি নিদের্শ অমান্য করে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটের ইজারাদার মো. মাসুদ রানা ও তার লোকজন অবৈধভাবে কোরবানির পশুর হাট বসান। খবর পেয়ে তাড়াশ থানার এএসআই নুরনবীসহ পুলিশ সদস্যরা হাটে গিয়ে অবৈধভাবে বসানো হাট বন্ধ করতে বলেন।
এ বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটের ইজারাদার মাসুদ রানাসহ তার চার সহযোগী শহিদুল ইসলাম ঝন্টু, আবু রাসেল, আব্দুল হান্নান ও আবু হাসনাত বাবু ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে তাড়াশ থানার এ এসআই নুরনবী ও চার পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালান। এতে তারা আহত হন। পরে তাড়াশ থানার ওসি ও তাড়াশ ইউএনও মেজবাউল করিম অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তাড়াশ থানার ওসি মো. ফজলে আশিক জানিয়েছেন, পুলিশের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটের ইজারাদার মাসুদ রানাসহ তার চার সহযোগী শহিদুল ইসলাম ঝন্টু, আবু রাসেল, আব্দুল হান্নান ও আবু হাসনাত বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।