চলতি মাসে বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে সুপারস্টার আমির খান ও প্রযোজক কিরণ রাওয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ। এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে তারা ১৫ বছরের সংসার ভাঙার কথা সবাইকে জানিয়েছেন।
এদিকে, ঠিক কী কারণে আমির-কিরণের ডিভোর্স হয়েছে, তা স্পট করেননি তারা কেউই। তবে দুই সপ্তাহ পর হুট করেই সামনে এলো তাদের বিচ্ছেদের কারণ! ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম তাদের ডিভোর্সের আসল কারণ প্রকাশ্যে এনেছে বলে দাবি করছে।
ফ্রি প্রেস জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকেই নাকি আমির-কিরণ আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছিলেন। তাদের মধ্যে কোনো বিদ্বেষ না থাকলেও, অনুভূতি নাকি হারিয়ে গিয়েছিল! সম্পর্কটা ছিল শুধুই বন্ধুত্বের! তখনই তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রতিবেদনটিতে আমিরের সহশিল্পী ফাতিমা সানা শেখের কথাও বলা হয়েছে। সূত্রের মতে, ফতিমার সঙ্গে আমিরের সম্পর্কের খবর সত্য! আর তাই একে-অপরের প্রতি ঘৃণা নিয়ে বা অবিশ্বাস নিয়ে না থেকে, আলাদা থাকার কথা ভাবতে শুরু করেন আমির-কিরণ! তবে ডিভোর্স হলেও তারা দু’জন পরিবারের মতো থাকবেন বলে জানিয়েছেন আমির। কিরণকে সঙ্গে নিয়ে লাইভে এসে তা জানান তিনি!
এর আগে যৌথ বিবৃতিতে আমির-কিরণ বলেন, ‘এই ১৫ বছরের সুন্দর সফরে আমরা প্রচুর আনন্দ, উচ্ছ্বাস, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। ভরসা, ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে আমাদের সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে। এবার আমরা জীবনের নতুন একটা অধ্যায় শুরু করতে চলেছি। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নয়, আমাদের সন্তানের মা-বাবা এবং পরিবারের সদস্য হিসেবে।’
আমির-কিরণ আরও জানান, তারা আলাদা থাকলেও একমাত্র ছেলে আজাদের প্রতি কর্তব্য পালন করবেন দু’জনেই। তাদের এই বিচ্ছেদের প্রভাব পেশাগত কাজের কোনো ক্ষতি করবে না।
২০০২ সালে প্রথম পক্ষের স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ‘লগন’ সিনেমার সেটে কিরণের সঙ্গে আমিরের প্রথম পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন ‘লিভ ইন রিলেশন’ থেকে ২০০৫ সালে তারা বিয়ে করেন। সারোগেসির মাধ্যমে ২০১১ সালে জন্ম নেয় তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান আজাদ।