বিশ্বের ১৮০ সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বিশ্বের ১৮০ সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে – Sabuj Bangla Tv
  1. shahinit.mail@gmail.com : admin :
  2. khandakarshahin@gmail.com : সবুজ বাংলা টিভি : সবুজ বাংলা টিভি
  3. wpapitest@config.com : wpapitest :
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
নোটিশ-
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন টিভি চ্যানেল সবুজবাংলা টিভি এর জেলা/উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

বিশ্বের ১৮০ সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে

সবুজ বাংলা টিভি
  • প্রকাশ কাল | সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ১৭৩ পাঠক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়ি পাতার ঘটনা ফাঁস হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন সাংবাদিকেরাও। বিশ্বের ১৮০ সাংবাদিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে।

রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানসহ ১৭টি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ এবং লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রথম এ তথ্য পায়। পরে তারা বিষয়টি ১৭টি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে শেয়ার করে।
গার্ডিয়ান বলছে, বিশ্বজুড়ে যে ১৮০ সাংবাদিকের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন সম্পাদক, অনুসন্ধানী সাংবাদিকসহ বিভিন্ন বিটে কর্মরত সাংবাদিকেরা। আছেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, আল–জাজিরা, ফ্রান্স ২৪, রেডিও ফ্রি ইউরোপ, মিডিয়াপার্ট, অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি), ব্লুমবার্গ, এএফপি, ইকোনমিস্ট, রয়টার্স, ভয়েস অব আমেরিকাসহ আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরা।
নাম পাওয়া গেছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সম্পাদক রৌলা খালাফের। গত বছর ইতিহাস গড়ে সংবাদপত্রটির প্রথম নারী সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
অনুসন্ধানকারীরা ধারণা করছেন, ২০১৮ সাল থেকেই খালাফের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। ওই সময় তিনি পত্রিকাটির সহকারী সম্পাদক ছিলেন। এর পেছনে জড়িত থাকতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
এ বিষয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ এবং সাংবাদিকদের ওপর যেকোনো ধরনের বেআইনি রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ কিংবা নজরদারি অগ্রহণযোগ্য।’
২০১৯ সালে আজারবাইজানের অনুসন্ধানী সাংবাদিক খাদিজা ইসমায়িলোভার স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে জানান অনুসন্ধানকারীরা। দেশটির স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও তার মিত্রদের দুর্নীতি নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করেছেন। এর আগেও তিনি নিজ দেশের স্বৈরাচারী শাসকের দমনপীড়ন ও গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে খাদিজা বলেন, ‘আমি সেসব দেশের সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ, যারা এসব নজরদারির যন্ত্র বানিয়েছে এবং ইলহাম আলিয়েভের মতো খারাপ শাসকদের কাছে বিক্রি করেছে। এটা ঘৃণ্য, এটা জঘন্য কাজ।’
যেসব সাংবাদিকের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়েছে, সেই সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে আমেরিকান অনুসন্ধানী সাংবাদিক ব্রাডলি হোপের নাম। তিনি লন্ডনে বসবাস করেন। তার ফোনে যখন আড়ি পাতা হয়েছিল, তিনি তখন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কর্মরত ছিলেন।
ব্রাডলি হোপ ও তার সহকর্মী টম রাইট মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের আলোচিত ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি ও এর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পৃক্ততা নিয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জানতাম, যেকোনো সময় একটি দেশ আমার ফোনে আড়ি পাততে পারে।’
ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, এমনকি কোনো কোনো দেশে ক্ষমতাসীন পরিবারের সদস্যদের ওপরও আড়ি পাতা হয়েছে। মূলত কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোর সরকার আড়ি পাতার কাজে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে।
পেগাসাস হলো একটি ম্যালওয়্যার। এটি ব্যবহার করে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সব মেসেজ, ফটো, ই–মেইল, কল রেকর্ড জানা যায়। এ ম্যালওয়্যার ফোন ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতেই মাইক্রোফোন চালু করে দেয়। অনুসন্ধানকারীদের হাতে ৫০ হাজারেরও বেশি ফোন নম্বর এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে এনএসও-এর গ্রাহকেরা এসব নম্বরে আড়ি পেতেছে।
এদিকে, ফোনে আড়ি পাতার এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে বিশ্বের সংবাদমাধ্যমসমূহে এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হলেও এক বিবৃতিতে এনএসও জানিয়েছে, পেগাসাস ব্যবহার করে আইনবহির্ভূত নজরদারির যে অভিযোগ উঠেছে তা অনুমাননির্ভর ও ভিত্তিহীন এবং এনএসও কোনো ‘অন্যায়’ কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।
বিবৃতিতে এনএসও কর্তপক্ষ বলেছে, অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডে নজরদারির জন্যই এটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে কোম্পানির কাছে তথ্য রয়েছে এবং যেসব দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত ও সন্তোষজনক, সেসব দেশের সেনাবাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ পেগাসাস ব্যবহার করে।

আমাদের সংবাদটি শেয়ার করুন..

এ পাতার আরও খবর

দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ও শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন একটি বহু-বছর মেয়াদী লিজিং সম্প্রসারণ চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, দেশজুড়ে ডিজিটাল সংযোগের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠান দুটির কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা হবে। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি এই অংশীদারিত্ব ইডটকোর দেশব্যাপী সংযোগ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত উভয় পক্ষ এই অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ চুক্তি সই করে। অনুষ্ঠানে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। উন্নত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর স্থাপন নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করবে এবং দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে, এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, আমাদের গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল চাহিদা পূরণে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সংযোগ নিশ্চিত করার প্রতি গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উদ্ভাবনী ও উন্নত অবকাঠামো সমাধানের মাধ্যমে এই চাহিদাগুলো পূরণে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ইডটকোর সঙ্গে আমাদের এই দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব। নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা একত্রে কাজ করছি। একই সঙ্গে, আমরা ডিজিটালভাবে সক্ষম একটি জাতি গঠনে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক একমত প্রকাশ করে বলেন, ইডটকোতে আমাদের লক্ষ্য হলো, নির্ভরযোগ্য এবং উন্নত সংযোগ সেবা প্রদান করে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনা। গ্রামীণফোনের সঙ্গে করা নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে এবং প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ডিজিটাল সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম করবে। গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের সঙ্গে আমাদের দক্ষতাকে মিলিয়ে, আমরা ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। এই সম্প্রসারিত চুক্তি ইডটকোর কার্যক্রম পরিচালনার মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশের ক্রমবর্ধমান সংযোগ চাহিদা পূরণে টেকসই সমাধান প্রদানের সক্ষমতার উদাহরণ। গ্রামীণফোন ও ইডটকোর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে টেলিকম খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরে। উন্নত নেটওয়ার্ক সংযোগ দেশের ডিজিটাল লক্ষ্য পূরণ এবং লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান উন্নত করতে সহায়ক হবে। সবাইকে নেটওয়ার্কের আওতায় এনে আরও সংযুক্ত এবং একটি প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম বাংলাদেশ গড়তে উভয় প্রতিষ্ঠানই অঙ্গীকারবদ্ধ।

Sabuj Bangla Tv © All rights reserved- 2011| Developed By

Theme Customized BY WooHostBD