বিশ্বজুড়ে নির্বাচন সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে পরামর্শ পেতে নির্বাচন কমিশন তৈরির কথা বিবেচনা করছে ফেসবুক। এ লক্ষ্যে শিক্ষাবিদ ও নীতি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন ও সেগুলোর কার্যকারিতা এবং নির্বাচন সম্পর্কিত ভুল তথ্য থেকে সৃষ্ট উদ্বেগের মতো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ফেসবুকের ওই প্রস্তাবিত কাঠামো।
এ কমিশনের ঘোষণা ফেসবুকের এ শরতেই দিতে পারে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তাদের ভাষ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের মধ্যবর্তীকালীন নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজটি করছে সামাজিক মাধ্যমটি। তবে, ফেসবুক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নিয়ম লঙ্ঘন করছে এমন বিশ্ব নেতা ও রাজনীতিবিদদের কীভাবে সামলাতে হবে, তা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিমশিম খেয়েছে মার্কিন সামাজিক মাধ্যমগুলো।
বড় মাপের সিদ্ধান্ত নিতে এর আগেও বাহ্যিক দল গঠন করেছে ফেসবুক। ২০১৮ সালেই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছে ‘ওভারসাইট বোর্ড’। এ বোর্ডের প্যানেলে রয়েছেন শিক্ষাবিদ, নীতি বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক রাজনীতিবিদরা। ফেসবুক নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনো কনটেন্ট মুছে দিয়ে ঠিক করেছে কি না, তা নিয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হলে বিষয়টি যাচাই করে থাকে বোর্ড।
যেমন- সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সহিংসতায় ইন্ধন যোগানোর অভিযোগে নিজ প্ল্যাটফর্মে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ফেসবুক। পরে এ বছরের মে মাসে ফেসবুকের ওই সিদ্ধান্ত ঠিক আছে বলে রায় দেয় ওভারসাইট বোর্ড। কিন্তু পাশাপাশি জানিয়েছে, ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ভুল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।