বহুল প্রতীক্ষার পর অবশেষে দেশে স্বপ্নের মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়েছে। ভায়াডাক্টে মেট্রোরেল চলাচলের পরীক্ষণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় উত্তরায় মেট্রোরেলের জন্য নির্মিত ডিপো থেকে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় ঢাকা ম্যাস র্যালপিড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনএম সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি, জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ও মেট্রোরেলের পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর তিনটি মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুনে পদ্মাসেতু, পরে কর্ণফুলী ট্যানেল, বছর শেষে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল লাইন-৬ উদ্বোধন হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একটি মাইলফলক। মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। সমালোচকরা সমালোচনা ও অপপ্রচার করবে, আমরা জবাব দেবো কাজে। শেখ হাসিনা সরকার কাজেই জবাব দেয়। আমরা মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুসহ মেগা প্রজেক্ট দিয়ে জাবাব দিচ্ছি।
তিনি জানান, মেট্রোরেল লাইন-৬ এর কাজ সার্বিক সম্পন্ন করতে ছয় মাস লাগবে। তাছাড়া ছয়টি মেট্রোরেল ২০৩০ সালে শুরু হবে। এরমধ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাজের ৬৮.২৯ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ।
মন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ডিপো উন্নয়ন কার্যক্রম দেখতে এসে ঝড়ের মুখে পড়ে বৃষ্টিতে ভেজার কারণে তিনদিন জ্বরে ভুগেছি। তবে আজ খুবই ভালো লাগছে, শেখ হাসিনার অবদান, মেট্রোরেল দৃশ্যমান।
সকাল ১০টার পর মেট্রোরেলের প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও একটু দেরি হয়। এ যাত্রায় কোনো যাত্রী নেয়া হয়নি। আর যে জাপানি চালক ট্রেনটি চালান, তিনি পিসিসিএল কোম্পানির চালক৷
মেট্রোরেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিফুর রহমান জানান,‘ট্রেনটি বিদ্যুতে চলবে। চলতে চলতে যদি কখনও বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ ট্রেনটিতে নিজস্ব বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থাকবে। ট্রেনটি ব্রেক করলে ওই বিদ্যুৎ তৈরি হবে।’
এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা দেখে রাজধানীবাসী অনেকটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।