বিএনপির লড়াই মুলত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্বদান করেছিল আওয়ামী লীগের সাথে। তাদের সাথে বিএনপির দ্বন্দ সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই। বিএনপি যা বলে তার সবই উন্নয়ন বিরোধী।
সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজের ৩য় তলা ভবনের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে এ দেশ যে যায়গায় এসেছে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল। বাংলাদেশকে এখন ইমাজিন টাইগার বলছে বিভিন্ন দেশ। আমরা নিম্নআয়ের দেশ থেকে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশে এসে পৌঁছেছি এবং আমরা ইতিমধ্যে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে।আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে কয়েকগুন। আমাদের সেই ৫৩০ ডলার থেকে ২২’শ ৭৫ ডলার মাথাপিছু আয়। বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান অনেক উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন প্রায় ৯৯% মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ। রাস্তাঘাটের অবকাঠামোতে ব্যাপক উন্নয়ন। স্কুল কলেজে বিল্ডিংগুলো ব্যাপক ভাবে উন্নয়ন হয়েছে। আমরা কিন্তু সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গুমের সংস্কৃতি চালু হয়েছে ‘এই মন্তব্যে আপনার কি বলার আছে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলরা সমস্ত ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলে,যা হাস্যকর ছাড়া অন্য কিছু না। জাতি এ সমস্ত কথা প্রত্যাখ্যান করে এবং তাদের কথা সব সময় প্রত্যাখ্যাত হয়। তারা যা বলে সবই উন্নয়ন বিরোধী। তাদের সময়ে তারা যা কিছু করেছে তা সবই মানুষের জানা আছে।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, যারা ব্যর্থ, যারা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা অতীতে খুনের রাজনীতি করেছে, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জাতির পিতার হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি বিল পাশ করেছে। যারা সেই স্বঘোষিত খুনিদের মন্ত্রীর মর্যাদায়,রাষ্ট্রদুত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে,এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি রাজাকার আল-বদর, আল-শামস,যারা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে তাদেরকে কিন্তু মন্ত্রীত্বের পতাকা দিয়েছে এই বিএনপি। আমরা পরবর্তীতে দেখি যে সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই কিন্তু বিএনপি জোট সরকার তৈরী করেছে।
এখনও তারা সেই লড়াই করে যাচ্ছে। বিএনপির লড়াই মুলত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সাথে এবং মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্বদান করেছিল আওয়ামী লীগের সাথে। তাদের সাথে বিএনপির দ্বন্দ সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই। অনুষ্ঠানে ঝিনাইদের জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। শাহরিয়ার আলম সোহাগ ঝিনাইদহ।