রিভিউ মানে ভাল-মন্দের হিসেব। তুল্যমূল্য বিচার। কিন্তু জীবনের সমস্ত কিছু তো আর সাদা-কালোর পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করা যায় না। এর বাইরেও অনেক কিছু রয়েছে। যা শব্দে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। শুধু অনুভব করা যায়। তেমন অনুভূতি হচ্ছিল ‘পবিত্র রিশতা – ইট’স নেভার টু লেট’ দেখার সময়। বারবার সুশান্ত সিং রাজপুতের কথা মনে পড়ছিল।
সুশান্তের স্বল্প সময়ের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ‘পবিত্র রিশতা’। জি-বাংলা চ্যানেল সম্প্রচারিত হওয়া এই ধারাবাহিকের মাধ্যমেই গ্ল্যামার জগতে পা রেখেছিলেন প্রয়াত তারকা। আর এর সেটেই অঙ্কিতা লোখণ্ডের সাথে জড়িয়েছিলেন প্রেমের সম্পর্কে। সে সম্পর্ক পরবর্তীকালে ভেঙে গিয়েছিল। তবে দর্শকদের মনে সুশান্তের করা মানব চরিত্রটি আজও অমলিন।
সুশান্ত ছাড়া ‘পবিত্র রিশতা’র কাহিনি দেখা দর্শকদের পক্ষে বেশ কঠিন। অনেকেই মানবের চরিত্রে শাহির শেখের অভিনয় নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। ট্রোল হতে হয়েছে অঙ্কিতা লোখণ্ডেকে। প্রশ্ন উঠেছে সুশান্তের স্মৃতি মাখানো সিরিয়ালটিকে ওয়েব সিরিজের রূপ দেওয়ার কি খুব প্রয়োজন ছিল?
একই প্রশ্ন দর্শকের মনেও উঠেছে। শাহির শেখ হিন্দি টেলিভিশনের হার্ট থ্রব। ভালো অভিনেতাও বটে। যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। তবে সুশান্তের বদলে তাকে মানব হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হয়। সিরিয়ালের মেজাজই সিরিজে বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। গল্পে এমন কিছু হেরফের করা হয়নি। শুধুমাত্র বর্তমান সময়ের কিছু ছোঁয়া দেওয়া হয়েছে। এখানে অর্চনা কফি শপে চাকরি করে। আর মানবকে অনলাইনে টাকা ট্রান্সফার করতে দেখা যায়। কিছু চরিত্রদের অভিনেতাও বদলে গিয়েছে। তবে আদতে সেই পুরনো কাসুন্দি। তাও অসম্পূর্ণ। অর্থাৎ আরও কিছু এপিসোড ভবিষ্যতে দেখা যাবে। তবে তার জন্যও খুব বেশি আশা রাখছি না। কারণ, ‘পবিত্র রিশতা’ মানে এখনও সুশান্ত। সে আবেগ ভাঙা অতটাও সহজ নয়।