২০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন সোনু সুদ। শুক্রবার নাকি এমনই দাবি করেছে ভারতের আয়কর দপ্তরের। মঙ্গলবার থেকে অভিনেতার বাড়ি ও অফিসে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছেন আয়কর দপ্তরের কর্মাকর্তারা। তারপরই এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
করোনা কালে সাধারণ মানুষের রবিনহুড হয়ে ওঠেন সোনু সুদ। এখনও তার বাড়ির সামনে সাহায্যের আশায় এসে কেউ খালি হাতে ফেরত যান না। এই সোনু সুদের বিরুদ্ধেই কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছে আয়কর দপ্তর। গত মঙ্গলবারই দিল্লি সরকারের তরফ থেকে সোনু সুদকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ঠিক তার পরই সোনুর অফিসে হানা দেন আয়কর কর্তারা।
বুধবার সোনুর অফিস-সহ মোট ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে অভিনেতার মুম্বইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান অফিসাররা। তারপর শুক্রবারই অভিনেতার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগ, বিদেশ থেকে ২.১ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য গ্রহণ করেছে সোনু সুদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এতে বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন অভিনেতা।
গতবছর করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে গোটা দুনিয়ার মন জয় করে নেন সোনু। এমনকী, সাধারণ মানুষ সোনুর নাম দেন ‘মসিহা’। তারপর থেকেই যখনই কেউ বিপদে পড়েছেন সোনু বার বার পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই সোনু সুদের অফিসে আয়কর দপ্তরের হানা দেওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই সোনুর অনুরাগীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
কয়েকদিন আগে খবর আসে আমআদমি পার্টিতে নাকি যোগ দিচ্ছেন সোনু সুদ। তবে এই নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি সোনু। তবে মনে করা হচ্ছে, AAP-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই সোনুকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। এর আগে অভিনেতার বিরুদ্ধে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এনেছিল বৃহণ্মুম্বই পুরনিগম।