সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুর এবং এক স্বাস্থ্য সহকারীকে মারপিটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দৈনিক মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেনকে তার তুজলপুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা হাইস্কুল অস্থায়ী টীকা কেন্দ্রে উজজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মনিরুজ্জামানের সাথে ইয়ারব হোসেনর বচসার ঘটনা ঘটে।
ইয়ারব হোসেন ২০১৩ সালে জামায়াতের সহিংস তান্ডবকালে সন্ত্রাসীদের হাতে মারপিটের শিকার হন। তার হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। এর পর থেকে হৃদরোগী ইয়ারব হোসেন দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, তিনি খবরটি শুনেছেন। টিকাকেন্দ্রের এই ঘটনার পর বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছিল। তবে তাকে আটকের বিষয় সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি টিকা ৫ জনকে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এটা কোন অব্যবস্থাপনা নয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আক্তার জানান, ঝাউডাঙা অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে টিকাদান কার্যক্রম চলছিল। এসময় সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন সেখানে গিয়ে একই টিকা ৫ জনের দেহে পুশ করার ঘটনায় আপত্তি করেন। এ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। তিনি স্বাস্থ্য সহকারী মনিরুজ্জামানকে একটি চড় মারেন এবং ভাঙচুর করেন। এই অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে।
হৃদরোগী সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন পুলিশ বেষ্টিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, ঝাউডাঙা হাইস্কুল কেন্দ্রে টিকা দেওয়া নিয়ে অব্যবস্থাপনার খবর পাই।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গেলে স্বাস্থ্য সহকারী মনিরুজ্জামান আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তুই কে রে? তুই কথা বলার কে?’
ইয়ারব হোসেন দাবি করে বলেন, ভিড়ের ধাক্কাধাক্কিতে সে আমার গায়ে হাত তুললে আমিও পাল্টা একটি চড় বসিয়ে দেই। তবে কোন ভাংচুরের ঘট